এবার বিরল এক মহাজাগতিক ঘটনার সাক্ষী হতে যাচ্ছে বিশ্ব। রাতের আকাশে চাঁদের রঙ গোলাপি দেখা যাবে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের বাসিন্দাদের মতো বাংলাদেশিরাও এ দৃশ্য দেখতে পাবেন। আগারগাঁওয়ে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর থেকে গোলাপি চাঁদ (পিংক মুন) দেখা যাবে। গতকাল মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিজ্ঞান জাদুঘর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, বুধবার (২৪ এপ্রিল) সূর্যাস্তের পর থেকে পরবর্তী দুই ঘণ্টা পর্যন্ত (আকাশ মেঘমুক্ত থাকা সাপেক্ষে) এ চাঁদ দেখা যাবে। এ জন্য আগারগাঁওয়ে বিজ্ঞান জাদুঘরের প্রশাসনিক ভবনের ছাদে স্থাপন করা হবে শক্তিশালী টেলিস্কোপ। এ টেলিস্কোপ পর্যবেক্ষণ ক্যাম্পে শিক্ষার্থী ও জনসাধারণকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে বিজ্ঞান জাদুঘর কর্তৃপক্ষ।
এদিকে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা জানিয়েছে, এ বছরের গোলাপি চাঁদ পরিপূর্ণরূপে ধরা পড়বে দেশটির স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টা ৪৯ মিনিটে। তবে সোমবার সকাল থেকে বৃহস্পতিবার সকাল-তিন দিন দেশটিতে এই চাঁদ দেখা যাবে। আর ইউরোপ, আফ্রিকা, এশিয়া ও অস্ট্রেলিয়ায় এই গোলাপি চাঁদ পূর্ণরূপে দেখার সুযোগ পাওয়া যাবে বুধবার।
এদিকে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে থাকা অত্যন্ত সূক্ষ্ম ধূলিকণা এবং বিভিন্ন ধরনের গ্যাসের শক্তির কারণে অনেক সময় চাঁদের রঙের দৃশ্যমান পরিবর্তন দেখা যায়। এ ছাড়া অন্যান্য ধোঁয়া দূষণও পৃথিবীতে আলো পৌঁছাতে বাধা সৃষ্টি করে। পৃথিবীতে আসা আলো তাদের নিজ নিজ তরঙ্গ দৈর্ঘ্য অনুযায়ী অনেক প্রকারে বিক্ষিপ্ত হয়ে যায়, যার মধ্যে নীল রঙকে সবচেয়ে দ্রুত বিক্ষিপ্ত হতে দেখা যায়। লাল রঙও বহু দূরে যায়।
এই কারণে, যখন চাঁদকে পৃথিবী থেকে দেখা হয় তখন বাদামী, নীল, হালকা নীল, রূপালি, সোনালি, হালকা হলুদ রঙের দেখায়। আর বিভ্রমের কারণে একে স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বড়ও দেখায়। জ্যোতির্বিদ্যার ভাষায় একে রিলে স্ক্যাটারিং বা আলোর বিচ্ছুরণও বলা হয়। এপ্রিল মাসে যে পূর্ণিমা দেখা যায় তাকে গোলাপি চাঁদ বলা হয়। এটি স্প্রাউট মুন, এগ মুন, ফিশ মুন, ফাশায় মুন, ফেস্টিভাল মুন, ফুল পিঙ্ক মুন, ব্রেকিং আইস মুন, বডিং মুন, বিগিনিং মুন ইত্যাদি।